ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
আজকের মূল আলোচনার বিষয় হলো ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে? এনআইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য ২৩০ টাকা প্রয়োজন হবে। ফি ২০০ টাকা ও এর উপর ভ্যাট 15% ৩০ টাকা।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য কত টাকা ফি দিতে হয়। আবার অনেকেই মনে করেন ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য কোন টাকা লাগে? তাই আজকে আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য নির্দিষ্ট একটি প্রদান করতে হয় এবং এর সাথে আরও 15% ভ্যাট দিতে হয়। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
প্রথমবার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য ২৩০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। এবং দ্বিতীয়বার সংশোধন ফি ৩৪৫ টাকা ও এরপরে যতবার সংশোধন করবেন সেক্ষেত্রে সংশোধনীয় ফি ৫৭৫ টাকা ভোটার আইডি কার্ড রি-ইস্যু ফি হিসেবে প্রদান করতে হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ক্যাটাগরি অনুযায়ী এবং ডেলিভারি সময়ের উপরে সংশোধন ফি নির্ভর করে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য অন্যান্য তথ্য এবং এবং ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করতে গেলে আলাদা আলাদা ফ্রি প্রদান করতে হবে। এছাড়া ব্যক্তিগত তথ্য এবং অন্যান্য তথ্য দুটি একসাথে সংশোধন করতে ৩৪৫ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত
সংশোধনের ধরন | ফির পরিমাণ | ভ্যাট(15%) | মোট ফির পরিমান |
---|---|---|---|
তথ্য সংশোধন | ২০০ টাকা | ৩০ টাকা | ২৩০ টাকা |
অন্যান্য তথ্য সংশোধন | ১০০ টাকা | ১৫ টাকা | ১১৫ টাকা |
উভয়তত্ত্ব সংশোধন | ৩০০ টাকা | ৪৫ টাকা | ৩৪৫ টাকা |
রি ইস্যু | ৩০০ টাকা | ৪৫ টাকা | ৩৪৫ টাকা |
রি ইস্যু জরুরী | পাঁচশ টাকা | ৭৫ টাকা | ৫৭৫ টাকা |
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি পরিবর্তন করার অধিকার রাখে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
Services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করে প্রথমে আপনার Nidw একাউন্ট Login করে নিবেন। যদি একাউন্ট করা না থাকে তাহলে রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করে নতুন একাউন্ট তৈরি করুন। এরপরে প্রোফাইল অপশনে প্রবেশ করে এডিট প্রোফাইলে ক্লিক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলঃ ভোটার আইডি কার্ড পেতে কতদিন লাগে।
তারপরে আপনি যেই তথ্যগুলো সংশোধন করতে চাচ্ছেন সেগুলো সিলেক্ট করে, পাশাপাশি সঠিক তথ্যগুলো বসিয়ে দিন। এরপরে মোবাইল ব্যাংকিং অথবা চালানের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি পরিশোধ করুন।
তারপরে তথ্য সংশোধনের প্রমাণপত্র হিসেবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো আপলোড করে আবেদন ফরমটি প্রিন্ট করে রাখুন। এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি অনলাইনের মাধ্যমে সংশোধন করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন
অনেক সময় আমাদের জাতীয় পরিচয় পত্র তথা ভোটার আইডি কার্ডে আমাদের নামের অক্ষর কিংবা নামের বানানে ভুল থাকে। যদি দ্রুত এই ভুলগুলো সংশোধন করা না হয় তাহলে পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি।
আপনারা অনলাইনের মাধ্যমেই ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। নাম সংশোধনের জন্য জেএসসি / এসএসসি / এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
অথবা আপনার পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিয়ের কাবিন প্রয়োজন হতে পারে। আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনী ডকুমেন্টস হিসেবে কমপক্ষে ২টি ডকুমেন্টস দেয়ার চেষ্টা করবেন। ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার নিয়ম এই লেখাটি পুরো দেখতে পারেন।
আমাদের শেষকথা
সম্মানিত পাঠক বৃন্দ, আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত ঘোষণা করছি। আশা করি ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন এবং ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন ফি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। নির্বাচন কমিশন যেকোন সময় আবেদন ফি পরিবর্তন করার যোগ্যতা রাখে।
BHAI AMAR BABAR NAMER SONGSODHON KARTA CHAI