সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন

আমাদের ভোটার আইডি কার্ডের কোন তথ্য ভুল থাকলে সেটি সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হয়। পরবর্তীতে কিভাবে সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন এই সম্পর্কে আজকের লেখাটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

দুর্ঘটনাবশত অনেক সময় আমাদের ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য ভুল থাকে, সেক্ষেত্রে এই ভুলগুলো সংশোধন করার জন্য ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনী আবেদন করতে হয়। আমরা Nidw ওয়েবসাইট থেকে সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারব।

সঠিকভাবে আমাদের ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদনটি এপ্রুভ হলে ১০৫ নাম্বার থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। তারপরে আমরা অনলাইন থেকে সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারব।

সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোডের জন্য Nidw ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনার অ্যাকাউন্ট লগইন করুন, তারপরে Profile এর মধ্যে প্রবেশ করে Download বাটনে ক্লিক করুন।

সংশোধিত আইডি কার্ড ডাউনলোডের জন্য অবশ্যই আপনার Nidw একাউন্টের ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড জানা থাকতে হবে। এছাড়াও আপনারা সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ডের কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

আপনার ভুল ভোটার আইডি কার্ডটি সংশোধনের জন্য আবেদন করার কিছুদিন পরে ১০৫ নাম্বার থেকে এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার আবেদনটির স্ট্যাটাস জানিয়ে দিবে। যদি সকল তথ্য প্রদান করে সঠিকভাবে আবেদন করেন তাহলে সংশোধনী আবেদনটি এপ্রুভ হয়ে যাবে।

তারপরে আপনার ভুল তথ্য গুলো সংশোধন করে ১০৫ নাম্বার থেকে এসএমএস এর মাধ্যমে কনফার্ম করবে। পরবর্তীতে আপনারা জাতীয় পরিচয় পত্রের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট Nidw থেকে সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য Nidw একাউন্টের ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড জানা থাকতে হবে।

যদি কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনী আবেদন করেন, তাহলে সেই দোকান থেকে আপনার Nidw একাউন্টের ইউজার নেইম ও পাসওয়ার্ড জেনে নিবেন। Nidw একাউন্টের ইউজারনেইম এবং পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করে নিচে দেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

  • প্রথমে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
  • তারপরে একটু নিচে গিয়ে “লগইন করুন” অপশনে আপনার Nidw একাউন্টের ইউজার নেইম এবং পাসওয়ার্ড বসিয়ে দিন।
  • কিছু সময় অপেক্ষা করার পরে Nidw একাউন্টে নিয়ে আসবে।
  • এখান থেকে Profile অপশনে গিয়ে “ডাউনলোড” বাটনে ক্লিক করুন।

এরপরে সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি আপনাদের ডিভাইসে পিডিএফ আকারে ডাউনলোড হবে। পরবর্তীতে এটি প্রিন্টার থেকে প্রিন্ট করে লেমন্টিং করে আইডি কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড – লেখাটি দেখে, Nidw অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কিভাবে nidw একাউন্ট করবেন তা ছবিসহ বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্বাচন অফিস থেকে সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ

অনেকেই সরাসরি নির্বাচন অফিস থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। আপনারা চাইলে নির্বাচন অফিস থেকে Nidw একাউন্টের ইউজার নেইম ও পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করে, ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন।

অথবা যারা অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড, একটু বিরক্তিকর মনে করতেছেন বা ঝামেলা মনে করতেছেন। আপনারা সরাসরি নির্বাচন অফিসে উপস্থিত হয়ে, নির্বাচন কর্মকর্তার সহযোগিতায় ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

  • প্রথমে আপনাদের এলাকার নির্বাচন অফিসে চলে যান।
  • ওইখানে কর্মরত কর্মকর্তার (Help Desk) সাথে এই বিষয়ে পরামর্শ করুন।
  • কর্মকর্তা আপনাকে নির্দিষ্ট অফিসারের কাছে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করবে।
  • উক্ত অফিসারের কাছে গিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার ও অন্যান্য তথ্য প্রদান করলে, উক্ত অফিসার আপনার ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করে দিবে।

তবে এত ঝামেলা না করে, আপনার যদি Nidw একাউন্টের পাসওয়ার্ড ও ইউজার নেইম জানা থাকে, তাহলে খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধিত অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম

বর্তমানে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড বের করার শুধুমাত্র একটি পদ্ধতি চালু আছে। সেটি হল Nidw (নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট) থেকে আপনার অ্যাকাউন্ট লগইন করে ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে হবে।

যদি আপনার পূর্বে Nidw একাউন্ট করা থাকে, তাহলে “লগইন করুন” অপশনে একাউন্টের ইউজার নেইম ও পাসওয়ার্ড প্রদান করে অ্যাকাউন্টটি লগইন করবেন। অথবা নতুন একাউন্ট রেজিস্টার করার জন্য:

ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড
  • services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
  • তারপরে নতুন একাউন্ট তৈরির জন্য “রেজিস্টার করুন” বাটনে ক্লিক করুন।
  • আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার অথবা ফর্ম নাম্বার প্রদান করুন।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ প্রদান করে, নিচের ক্যাপচাটি পূরণ করে “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করুন।
  • তারপরে ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা (বিভাগ, জেলা, উপজেলা) সিলেক্ট করে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
  • এরপরে মোবাইল নাম্বার দিয়ে OTP ভেরিফিকেশন করুন।
  • গুগল প্লে স্টোর থেকে NID Wallet অ্যাপসটি ডাউনলোড করে, QR স্ক্যান করুন।
  • ব্যক্তি সনাক্তকরণ ও ফেইস ভেরিফিকেশন এর জন্য NID Wallet অ্যাপসটি ওপেন করে সঠিকভাবে face verification করুন।
  • তারপরে আপনার Nidw একাউন্টের জন্য একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সেট করুন।
  • পুনরায় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে Nidw অ্যাকাউন্ট লগইন করুন।
  • তারপরে প্রোফাইল থেকে “ডাউনলোড” বাটনে ক্লিক করে ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি PDF ফাইল ডাউনলোড করুন।

এই পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজেই নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (Nidw) থেকে আপনাদের ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

সংশোধিত স্মার্ট কার্ড পাওয়ার উপায়

বর্তমানের স্মার্ট কার্ড দ্বিতীয়বার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আপনার স্মার্ট কার্ডের কোন তথ্যে ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করলে আপনাকে পুনরায় স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে না। তবে আপনি অনলাইন থেকে স্মার্ট কার্ডের অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী একজন ব্যক্তিকে দ্বিতীয়বার স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয় না। তাই আপনার স্মার্ট কার্ডের তথ্যে ভুল থাকলে, তা সংশোধন করে অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। কিন্তু পুনরায় স্মার্ট কার্ড পাবেন না।

যদি কখনো এই নিয়ম সংশোধন করে, একজন ব্যক্তিকে দ্বিতীয়বার স্মার্ট কার্ড প্রদান করা যাবে এমন নিয়ম চালু করে, তখন আপনারা পুনরায় স্মার্ট কার্ড রি-ইস্যুর জন্য আবেদন করে সরাসরি স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

শেষকথা

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ, অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা সংশোধিত স্মার্ট কার্ডের অনলাইন কপি ব্যবহার করে আপনারা যাবতীয় নাগরিক সেবা উপভোগ করতে পারবেন। অরজিনাল স্মার্ট কার্ডের ন্যায় এই অনলাইন কপি’টি থেকে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

FAQs

পুরাতন আইডি কার্ড বের করার নিয়ম?

২০১৭ কিংবা ২০১৮ সালের পূর্বের ভোটার আইডি কার্ডগুলো বের করার জন্য প্রথমে নিকটস্থ থানায় গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেছে এই মর্মে একটি ডায়েরি করুন। তারপরে অনলাইনে নির্ধারিত ফি ও ডাইরির কপি জমা দিয়ে পুরাতন আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড বের হতে কতদিন সময় লাগে?

ছবি তোলার পরে ভোটার আইডি কার্ড বের হতে সাধারনত ৩০ থেকে ৬৫ দিন সময় লাগে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের থেকে বেশি সময় প্রয়োজন হয়।

Similar Posts

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments